যশোর : অভয়নগর উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) দ্বন্দ্বে ইউএনও-কে জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বলে মনে করছেন সেখানকার ১৬ কর্মকর্তা। বিষয়টি উল্লেখ করে ২৯ ডিসেম্বর তারা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত দিয়েছেন। অবশ্য কোনো চাপের মুখে এই ১৬ কর্মকর্তা চিঠি পাঠিয়েছেন কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি, নিরপেক্ষতার জন্য তিনি বিষয়টির মধ্যে ঢোকেননি, কাউকে প্রভাবিতও করেননি। তবে দরখাস্তকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইউএনও।
১৬ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ ডিসেম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ রুবেলের সঙ্গে এপি উত্তরা শতদ্রু প্রাচীর দ্ব›দ্ব হয়। মোবাইল ফোনে এপির সঙ্গে অগ্রহণযোগ্য, শিষ্টাচারবহির্ভূত ভাষা ব্যবহার করেন পিআইও। পরে ওই কথোপকথনের অডিও ক্লিপ গণমাধ্যমে ভাইরাল করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পিআইও-কে স্ট্যান্ডরিলিজ করে কর্তৃপক্ষ। পরে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও জীবননাশের হুমকির সাতটি অভিযোগ তুলে ধরে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হুসেইন খানকে জড়িয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এপি।
অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় এক বছর ইউএনও নাজমুল হুসেইন খানের সঙ্গে তারা কাজ করছেন। দাপ্তরিক সকল কাজে ইউএনও’র সহযোগিতা পেয়েছেন। ইউএনও’র বিরুদ্ধে এপি আনীত অভিযোগ অসত্য ও অপপ্রচারমূলক কার্যক্রম।
এর আগে ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন এপি প্রাচী। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবরে তোলপাড় হয়। জেলা প্রশাসক এই অভিযোগ তদন্তের উদ্যোগ নেন। স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয় পিআইও। দায়িত্বে বহাল আছেন ইএনও।