আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগামী ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। এর আগে দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, সবার করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া সম্ভব হলে আগামী ৪ জুলাই দেশের মানুষের ছোট আকারে মিলিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ার ‘ভালো সম্ভাবনা’ আছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম প্রাইমটাইম ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন।  তবে তিনি এমন দিনে ভাষণ দিলেন এক বছর আগে এই দিনে কোভিড-১৯-কে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্যকে আগামী ১ মের মধ্যে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিককে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমরা যদি ৪ জুলাইয়ের মধ্যে টিকা নিতে পারি, তাহলে আপনার নিজের, পরিবারের ও বন্ধুদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মিলিত হওয়ার ভালো সুযোগ আছে।’

দেশব্যাপি টিকাদান কার্যক্রম সম্প্রসারণে প্রেসিডেন্ট যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তাতে টিকাদান কেন্দ্র ও টিকা দেওয়ার জনবল বাড়ানো হবে।
এছাড়াও কিছু ভ্রাম্যমাণ টিম গিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে টিকা দেবে।

বাইডেন তার শপথ নেওয়ার পর একশত দিনের মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা বলেন। তবে এবার ভাষণে তিনি বলেন, সেই টার্গেট ৬০ দিনে অর্জিত হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্যবিধি মানা, বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোঁয়া ও মাস্ক পরতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘ভাইরাসকে পরাজিত করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা জাতীয় ঐক্যের ওপর নির্ভর করছে।’

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) মার্কিন কংগ্রেসে অনুমোদন পাওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক দশমিক নয় ট্রিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করেন। ওই বিল অনুযায়ী, জনপ্রতি ১ হাজার ৪০০ ডলার নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। এই প্রণোদনা চলতি মাস থেকে শুরু হবে।

একইসঙ্গে রাজ্য ও স্থানীয় সরকারগুলোর জন্য সাড়ে তিনশত বিলিয়ন ডলার, স্কুল খোলার জন্য ১৩০ বিলিয়ন ডলার, করোনা টেস্ট সুবিধা ও গবেষণার জন্য ৪৯ বিলিয়ন ডলার এবং টিকা বিতরণের জন্য ১৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।

বাইডেন বলেন, এই ত্রাণ প্যাকেজ তার ‘দেশের মেরুদণ্ড’ পুনর্গঠন করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ এই প্রণোদনা প্যাকেজ রিপাবলিকানদের সহায়তা ছাড়াই পাস হয়েছে কংগ্রেসে।

রিপাবলিকানরা এই বিলের সমালোচনা করে শুধু যারা আয় হারিয়েছে,  তাদের সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। করোনা মহামারিতে আমেরিকায় ৫ লাখ ২৯ হাজার মানুষ মারা গেছে। আর আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষ।