হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর জাল করে ৭৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কারান্তরীণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

রোববার (২ মে) রাতে বরখাস্তের আদেশের চিঠিটি জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ও মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার কাছে এসে পৌঁছেছে।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, রাত ১১টার দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি এসেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ৭৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (প্রশাসন) কাজী শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত বরখাস্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ৭৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। ৩০ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এদিকে রোববার বিকেলে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ স্থানীয় বিভাগের সরকার উপ-পরিচালক তওহিদ আহমেদ সজিবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের টাকা বিভিন্ন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর জাল করে আত্মসাৎ করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলাম। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার নজরে এলে ৩০ এপ্রিল তিনি এ বিষয়ে মাধবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন রাতে চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনের ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য কাগজপত্র দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) প্রেরণ করা হয়েছে।