কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : বিশ্বব্যাপী মরণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জন-জীবন অতীষ্ট হলে সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এখনও বন্ধ হচ্ছে না এনজিও’র কিস্তি তোলাসহ অন্যান্য কার্যক্রম। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকালে বে-সরকারী এনজিও আশা ব্যাংকের কর্মকর্তারা কুয়াকাটার ইসলামপুর মহল্লার বিভিন্ন বাড়িতে ঘুরে ঘুরে কিস্তির টাকা তোলেন। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার (২৩ মার্চ) পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক এনজিও’র কিস্তি বন্ধ ঘোষণা করেছেন। আশা’সহ কয়েকটি এনজিও এ নির্দেশনা না মেনে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে কিস্তির টাকা তুলছে। কিস্তির টাকা পরিশোধে অনেকে অনিহা প্রকাশ করলে এনজিওকর্মীরা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছেন। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, নতুন করে লোন নিতে ঝামেলা হবে বলে হুমকী দিচ্ছেন এসব এনজিও কর্মকর্তারা।
আশা’র মাঠকর্মী জাহিদ হোসেন বলেন, উপরের নির্দেশে মাঠে এসে কিস্তি নেওয়া হচ্ছে। যখনই তারা নিষেধ করবেন তখন আর নেওয়া হবে না।
আশা কুয়াকাটা শাখার ম্যানেজার জহির উদ্দিন বলেন, লোন নিচ্ছেন কিস্তি দিবে এটাই তো স্বাভাবিক নিয়ম। সরকারীভাবে এখন পর্যন্ত কিস্তি না নেয়ার ব্যাপরে কোন নির্দেশনা আমরা পাইনি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সরকারীভাবে যে কোনো এনজিও’র কিস্তি তোলার ব্যাপরে সম্পূর্ণ নিষেধ আছে। এ রকম অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
– রাসেল কবির মুরাদ