শেরপুর : শেরপুরে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দুই গ্রামের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় রাস্তা অবরোধ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরপুর শহর থেকে ইজিবাইকে নন্দীরবাজার যাওয়ার পথে কয়েকজন নারীকে দড়িপাড়া গ্রামের কয়েকজন যুবক ইভটিজিং করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে রাতেই দড়িপাড়া থেকে মাইকিং করে লোক জড়ো করে কান্দাশেরী এলাকার সঙ্গে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন ফারুক মিয়া, মজনু মিয়া, আব্দুল আলিমসহ অন্তত ১০ জন। এসময় কুসুমহাটি বাজারে সড়কে আগুন ধরিয়ে অবরোধ করা হয়। ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে শনিবার সকাল থেকেই আবারও কুসুমহাটি বাজারে শেরপুর-জামালপুর সড়কের দুই পাশে দু’পক্ষ অবস্থান নেয়। দুপুরের দিকে পুনরায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষের ফলে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে।
এর আগে শেরপুর শহরের মৃগী নদীর পাড়ে গড়ে তোলা সূর্যমুখীর বাগানে ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফলে সূর্যমুখীর বাগানে দর্শনার্থী প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শেরপুর ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন নাহিয়ান ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবায়দুল আলম জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।