নালিতাবাড়ী (শেরপুর) : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ইউপি সদস্যসহ দুইজন নিহতের ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজন পলাতক থাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে উভয়পক্ষের মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিবি পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এলাকায়।
সূত্র জানায়, ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও গ্রাম সংলগ্ন নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম রাজনগর হদিপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে জিয়াউল ও ইয়াদ আলীর গংদের মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবত বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছিল। গত বুধবার সকালে জিয়াউলদের দখলে থাকা সদ্যরোপিত আমন ধানের ক্ষেত বিনষ্ট করে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দখলে নিতে আসে প্রতিপক্ষ ইয়াদ আলী ও তার লোকজন। খবর পেয়ে জিয়াউল ও তার লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা প্রদান করে। এসময় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়। তন্মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিয়াউলের মামা ও পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন এবং ইয়াদ আলীর ছোট ভাই রিয়াজুলের মৃত্যু হয়। এছাড়াও ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিনের মৃত্যুর সংবাদ শোনে আগে থেকেই অসুস্থ তার বৃদ্ধা মা জয়নবীও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
এদিকে উভয়পক্ষে মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দুপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়। হামলা চালানো হয় বাড়িঘরে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সিআইডি পুলিশের সদস্যরা এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল ও ঝিনাইগাতি থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক। তবে উভয়পক্ষের লোকজন পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে থাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান, এখনও মামলা হয়নি তবে দুইপক্ষ থেকেই মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে খবর রয়েছে। এ পর্যন্ত উভয়পক্ষের সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।