বাংলার কাগজ ডেস্ক : মোঃ ইলিয়াস খান। একজন শিক্ষিত সফল ব্যবসায়ী ও তরুণ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। হাজার হাজার মাইল দূরে প্রবাসে থেকেও থেকেও যিনি সবসময় পাশে রয়েছেন অভিভাবহীন বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে। সংক্ষেপে তার পরিচয় তুলে ধরা হলো-

জন্ম ও বেড়ে ওঠা
ময়মনসিংহ জেলাধীন হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা ইউনিয়নের চাঁদশ্রী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন মোঃ ইলিয়াস খান। তার পিতা মোঃ আব্দুল হালিম খান। জন্মভূমি চাঁদশ্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশের পর সপরিবারে তিনি চলে যান ময়মনসিংহ শহরে। শহরের চরপাড়া মেডিকেল কলেজ এলাকায় তার পিতা-মাতাসহ পরিবারের অন্যরা বসবাস শুরু করেন।

শিক্ষা জীবন
ময়মনসিংহ এডওয়ার্ড স্কুল থেকে এসএসসি পাশের পর ময়মনসিংহ সরকারী কমার্স কলেজে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে তিনি এইচএসসি পাশ করেন। এরপর করটিয়া শাহাদত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হলেও প্রথম বর্ষ শেষ করে টিসি নিয়ে তিনি আনন্দমোহন ভর্তি হন। পরে এখান থেকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজধানীতে অবস্থিত আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন ইলিয়াস খান।

কর্মজীবন
তিনি ১৯৯৬ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা গমন করেন এবং আইন বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকুরী শুরু করেন। এরপর ২০০৪ সালে তিনি সুপারশপ ব্যবসায় নামেন। বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটিতে ৩টি নিজস্ব ভবনে পৃথক এবং একটি ভাড়া ভবনে একটি মিলে মোট চারটি ভবন নিয়ে পৃথকভাবে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কারওয়ান বাজার সুপার মার্কেট’। এছাড়াও নিজস্ব প্রপার্টিতে ১২০ শয্যা বিশিষ্ট থ্রি-স্টার হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কমিউনিটি সেন্টার, পার্টি হল ইত্যাদি ব্যবসা পরিচালনা করেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।

রাজনৈতিক যাত্রা
তিনি ১৯৮৮ সালে ময়মনসিংহ এডওয়ার্ড স্কুল ছাত্রদল শাখার আহবায়ক ছিলেন। ময়মনসিংহ সরকারী কমার্স কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯১ সালে জেলা ছাত্রদল গঠন হলে সেখানে তিনি সদস্য পদ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে আমেরিকা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। ২০০৪ সালে বিএনপি আমেরিকা শাখা গঠন করলে সেখানে তিনি যুব ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এরপর ২০১১ সালে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে গঠিত কমিটিতে তিনি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নকলা-নালিতাবাড়ী (শেরপুর-২) আসন থেকে অংশ নিতে তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের ইঙ্গিতে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে দাখিল করেন।

স্থানীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা
২০১৮ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হন, কারাগারে হাজতবাস করেন, কেউ বা পালিয়ে ফেরারী জীবন বেছে নেন। এমতাবস্থায় স্থানীয় রাজনীতির অভিভাবক ফাহিম চৌধুরী দূরে সরে গেলে হতাশাগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ান ইলিয়াস খাঁন। আর্থিক আঞ্জাম দেওয়া, জামিন করানো, অসুস্থ নেতাকর্মীদের দেশের বাইরে পর্যন্ত নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, করোনার দুর্যোগকালীন সময়ে দরিদ্র নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ানোসহ নেতাকর্মী ও দলের বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে তিনি নিরবিচ্ছিন্নভাবে পাশে রয়ে যাচ্ছেন। অভিভাবকহীনতার চরম দুঃসময়ে তাকে কাছে পেয়ে ইতিমধ্যেই অধিকাংশ নেতাকর্মী নকলা-নালিতাবাড়ী (শেরপুর-২) আসন থেকে পরবর্তী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলিয়াস খাঁনকে বিএনপি তথা বিশ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে পেতে চেষ্টা ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।