শেরপুর : শেরপুর শহরের সিংপাড়ায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর নিজ বাড়ির কাচা টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে পাওয়া গেছে মা ও ছেলের মরদেহ। আটক করা হয়েছে স্বামী মাশেক, তার মা এবং এক আত্মীয়কে। নিহত রুমানা আক্তার রোকশানা (২৮) স্থানীয় একটি বেসরকারী ক্লিনিকে নার্সের কাজ করতেন, ছেলে জুনায়েদ হাসান রাফিদ (১১) চতূর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
পুলিশ জানায়, চার দিন যাবত রোকশানা ও তার ছেলের কোন সন্ধান না পেয়ে তার বোন সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তদন্তে যায় রোকশানার বাড়িতে। তদন্তের একপর্যায়ে দূর্গন্ধ পেলে দূর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে সন্ধান মেলে মা ও ছেলের মরদেহের।
স্থানীয়রা জানান, মাশেক-রোকশানা দম্পতি গত ডিসেম্বর থেকে সিংপাড়া মহল্লার বাসেদ খান নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাদের চার বছর বয়সী আরও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। রোকশানার স্বামী মাশেকের সাথে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকতো।
এদিকে কয়েকদিন আগে মাশেককে স্থানীয় একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকেই মাশেককে এবং গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার মধ্যবয়ড়া গ্রাম থেকে তার মাসহ এক আত্মীয়কে আটক করে পুলিশ। খবর পেয়ে জামালপুর থেকে পিবিআই এর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ আরও জানায়, নিজ বাড়ির কাচা টয়লেটের সেফটি ট্যাংকেই পাঁচ দিন যাবত পড়েছিল রোকশানা ও তার ১১ বছরের শিশু ছেলে রাফিদ এর লাশ। মাদকাসক্ত পাষন্ড স্বামী মাশেক তাদের হত্যা করে লাশ গুম করতে সেখানে রেখে বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল হান্নান মিয়া জানান, গতকালের জিডি’র ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়ে মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।