গত শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়।

(১) জনস্বার্থে প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯’-এ দুটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১৩ক ও ধারা ২৫ক। ১৩ক। বিশেষ পরিস্থিতিতে মেয়র এবং কাউন্সিলরদের অপসারণের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার, অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং কাউন্সিলরদের অপসারণ করতে পারবে। (২) বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ, সরকারি গেজেটে আদেশ দ্বারা, উপধারা (১) এর মাধ্যমে বর্ণিত মেয়র এবং কাউন্সিলরের অপসারণ কার্যকর করতে পারবে।

(২) প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ দুটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ৩২ক ও ধারা ৪২ক। ধারা-৩২ক। বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনায় জনস্বার্থে সরকার কোনো পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। ধারা-৪২ক। বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনায় জনস্বার্থে সরকার কোনো পৌরসভায় একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।

জেলা পরিষদ

(৩) প্রস্তাবিত ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এ দুটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১০ক ও ধারা ৮২ক। ধারা-১০ক। বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের সরকার অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে, জনস্বার্থে অপসারণ করতে পারবে। ধারা-৮২ক। বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে।

উপজেলা পরিষদ

(৪) প্রস্তাবিত ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এ দুটি নতুন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। তা হলো ধারা ১৩ঘ ও ধারা ১৩ঙ। ১৩ঘ। বিশেষ পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান বা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বা অন্য সদস্যদের অপসারণের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা এবং ১৩ঙ। বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা।