এর আগে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।

তদন্তকালে আরও জানা যায়, শিমুল ভূইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীন পরিকল্পনা মোতাবেক ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে বড় অংকের অর্থ দেবেন বলে গত ২ মে  বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় নিয়ে হোটেলে রাখেন। তারপর হোটেল থেকে মোস্তাফিজ ১০মে এবং ফয়সাল ১২মে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের বাসায় ওঠেন। এমপি আনার ১২মে কলকাতায় যান এবং ১৩ মে অন্য আসামিদের প্রলোভনে আসামি ফয়সাল ও শিমুল ভূইয়ার সঙ্গে সঞ্জীবা গার্ডেনের বাসায় যান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শিমুল ভূইয়ার নির্দেশে ফয়সাল, মোস্তাফিজ, জিহাদ এমপি আনারকে হত্যার কার্যক্রম শুরু করেন। বিষয়টি আনার বুঝতে পেরে ফ্ল্যাট থেকে চলে যেতে চাইলে আসামি ফয়সাল তাকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরেন এবং মুখে চেতনানাশক ক্লোরোফর্ম মিশ্রিত রুমাল দিয়ে চেপে ধরেন।

গতকাল বুধবার দুপুর থেকে হেলিকপ্টারে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি। এ নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদের মধ্যে চারজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেননি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৬ জুন কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।