বাংলার কাগজ ডেস্ক : ‘সরকার শহর থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে কাজ করছে’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উন্নয়নের গতিধারা চলমান রাখতে নৌকার পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বানও জানান।

শনিবার রাতে গণভবনে সংসদীয় বোর্ড ও সংগঠনের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় বক্তব্য শেষে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন পরিক্রমা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপকভাবে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি। সরকার শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, একদম গ্রাম পর্যায়েও উন্নয়ন করে যাচ্ছে। অর্থাৎ গ্রামের মানুষ শহরের সুবিধা পাবে আমরা সেইভাবে উন্নয়ন প্রক্রিয়া চালাচ্ছি।

‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামের মানুষ যাতে উন্নয়নের সুবিধাগুলো পায়। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। তাই উন্নয়নের গতিধারা রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। কারণ, নৌকা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে নৌকাই পারবে উন্নয়ন করতে।”

জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জনগণের কাছে যাবেন জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইবেন। আপনারা যদি আমাদের উন্নয়নের কথা জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারেন নিশ্চয়ই জনগণ নৌকায় ভোট দেবে। প্রত্যেক শ্রেণিপেশার মানুষের উন্নয়ন করছি, কোনো শ্রেণিকে আমরা বাদ দিচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘‘আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তা মাঠ পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আমরা যদি সঠিকভাবে আমাদের উন্নয়নের কথাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি, তাহলে ভোটে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

‘জনগণের আস্থা আমরা অর্জন করেছি। দীর্ঘদিন একটানা সরকারে থেকেও জনগণের আস্থা ধরে রাখতে পেরেছি এটাও কিন্তু একটা বড় অর্জন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা শান্তিপূর্ণ দেশ হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। এটা ধরে রাখতে হবে। এভাবে আমরা এগিয়ে যাব। তাহলে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’

মুজিববর্ষে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হবে। আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।

‘যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির জনক দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্নটা পূরণ করতে হবে। এটাই হচ্ছে আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

‘আপনারা নিঃস্বার্থভাবে দেশের সেবা করবেন। নিজের চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের জন্য যদি কাজ করতে পারেন তাহলে মানুষের যে আস্থা অর্জন করা যাবে। একজন রাজনৈতিক নেতার এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করতে হবে।”

এসময় বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমুলক বইগুলো পড়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।